Smartphone Addiction Of Child

Child Smartphone Addiction : শিশুদের সর্বনাশের মুঠোফোন আসক্তি

Spread the love

smartphone addiction :

বাচ্চারা প্রচন্ড অনুকরণ প্রিয়। বাড়িতে বড়রা যা করে তারাও সেটাই করার চেষ্টা করে।

অনেক সময় দেখি বাচ্চা মেয়েরা খেলনা বাটি খেলে। আবার বাচ্চা ছেলেরা অফিস অফিস খেলা খেলে।

বাড়িতে তারা বড়দের যা দেখে করতে তারাও ঠিক তেমনটি করেই খেলা করে।

তাই অভিভাবকদের সাবধান হতে হবে বাচ্চাদের ও সাবধান করতে হবে, মোবাইল অ্যাডিকশন শুধু বাচ্চাদেরই নয় বর্তমানে এটা জাতীয় সমস্যা তে পরিণত হয়েছে।

Smartphone Addiction

Smartphone Addiction Symptoms: আপনার বাড়ির বাচ্চা কি অতিরিক্ত পরিমাণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে?

মোবাইল ফোনে বা স্মার্ট ফোনে আপনার বাচ্চা কি আসক্ত হয়ে পড়েছে তা আপনি বুঝবেন কি করে?
অবশ্যই লক্ষ্য করুন আপনার বাচ্চার মোবাইলে আসক্তি জন্মে গেছে কিনা। আপনি বুঝবেন যেগুলোর মাধ্যমে, সেগুলি হল-

  • বাচ্ছা হঠাৎ হঠাৎ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
  • স্বাভাবিক কারণেই তার খিটখিটে মেজাজ হয়ে যেতে পারে।
  • এনজাইটিতে মন ভরে থাকতে পারে।
  • পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমে গিয়ে থাকবে।
  • চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে মোবাইল ঘাটার জন্য অনিদ্রা জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে বিশ্রাম না দেওয়ার জন্য মাথার মধ্যে বিকাশে ব্যাঘাত করতে পারে।
  • যখন দেখবেন বাচ্চা একা একা ফোন নিয়ে থাকতে পছন্দ করছে । তখন জানবেন বাচ্চা অতিরিক্ত ফোন ঘাঁটছে। এর মাধ্যমে সে সামাজিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
  • লক্ষ্য করবেন বাড়িতে বাচ্চারা যখন খাবার জন্য, ঘুমানোর জন্য, সমস্ত কিছুতেই তাদের ফোন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তখন একান্তভাবে নিশ্চিন্ত হবেন যে আপনার বাচ্চার মোবাইল এর প্রতি আসক্তি জন্মে গেছে।
  • যখন দেখবেন বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চারা কিছু সামান্য কাজেই ফোনের জন্য ব্ল্যাকমেলিং করে তখন অবশ্যই জানবেন যে বাচ্চা মোবাইলের প্রতি বেশ আসক্ত হয়ে পড়েছে।

Mobile Addiction Problems: যে সমস্ত বাচ্চারা সারাদিন স্মার্টফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখে

Mobile Addiction Problems

মোবাইলে আসক্ত হয়ে যে সমস্ত বাচ্চারা সারাদিন স্মার্টফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখে-

তাদের ক্ষতির পরিমাণ সঙ্গে সঙ্গে না বোঝা গেলেও কিছু পরে বোঝা যায়।

বেশি বয়স নয় মাত্র ১০ থেকে ১২ কিংবা ১৫ বয়স হবে তাদের চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।

অতিরিক্ত ফোনের আসক্তির জন্য কিছু কিছু বাচ্চার চোখ টেরা বা বাঁকাও হয়ে যায়।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বেশি পরিমাণে স্মার্টফোনের ব্যবহারে, তাদের বিকাশ হতে ব্যাহত হয়। যেমন ধরুন মস্তিষ্কে মোবাইল ফোনের যে প্রভাব পড়ে তাতে মানসিক শক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।

বেশিরভাগ সময়টা যদি স্ক্রিন টাইমের মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হবে।

স্কিন টাইম ঘুমের ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।

আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর অত্যাধিক পরিমাণে এই ডিজিটাল ফোন স্মার্টফোন বা টিভি এই জিনিসগুলি প্রভাব ফেলে। শিশুদের ক্ষেত্রে যেটি বেশি পরিমাণে প্রভাব ফেলে।

How To Stop Your Child Smartphone Addiction:

Solution For Smartphone Addiction

মোবাইল অ্যাডিকশন দূর করতে যেটি আপনি করবেন-

প্রথমতঃ বাচ্চার সঙ্গে গুণমান সময় কাটাতে হবে। তাই মোবাইল নেশা দূর করতে যে করেই হোক অন্য নেশা দিতে হবে।

তা সে গল্প বই পড়াই হোক আর খেলার নেশাই হোক।

দ্বিতীয়তঃ বাচ্চার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণও করতে হবে বাবা-মাকে। শিশু যেন ভরসা পায়, তার মনের কথা আপনাকে বলতে কারণ শিশুর মনের কথা জানা আপনার অত্যন্ত প্রয়োজন।

তৃতীয়তঃ পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান। বাচ্চাকে সেখানে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিস করান। আপনার শিশুকে বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে মনের বিকাশ ঘটান।

এরপর আপনি যেটা করতে পারেন বাড়িতে বিভিন্ন মনীষীর বই এনে রাখুন। নিজে পড়ুন দেখবেন বাচ্চাও আগ্রহ প্রকাশ করছে। এরকম মনীষীর বই পড়াবেন কারণ তাতে সঠিক পথে এগোতে পারবে ।তার মনের গঠন সঠিক হবে।

অন্যদিকে বাচ্চাকে বাড়ির মধ্যে কখনোই আটকে রাখবেন না। কারণ তাতে সে সামাজিক হতে ব্যর্থ হবে।

তাই সামাজিকভাবে বড় করে তুলতে প্রতিবেশী বাচ্চাদের সঙ্গে ছাড়ুন।

তাদের সঙ্গে মিশতে দিন, খেলতে দিন ,গল্প করতে দিন, এতে বাচ্চার মানসিক বৃদ্ধি ঠিক ভাবে হবে।

কখনো পুরস্কার স্বরূপ স্মার্টফোনের অফার করবেন না। অর্থাৎ খাবার খেয়ে নিলে ফোন দেবেন বা পড়তে গেলে তাকে স্মার্টফোন দেবেন এমন বিষয়ে থেকে নিজের সতর্ক থাকুন।

যদি পুরস্কার করতে থাকেন স্মার্টফোন বা tv বা গ্যাজেট, বাচ্চার সঠিক পড়া ,খাওয়া এবং তার বৃদ্ধির বিকাশ ঠিকভাবে হবে না। তাই পুরস্কার হিসাবে কোন স্মার্ট ডিভাইস দেওয়ার কথা তাকে বলবেন না।

বাচ্চা অতিরিক্ত ফোন ঘাটে, এর জন্য আপনি ফোনে পাসওয়ার্ড সেট করুন।

কঠিন পাসওয়ার্ড দিন, তাহলে বাচ্চা লুকিয়ে ফোন নিলেও ব্যবহার করতে পারবে না।

বর্তমানে বাচ্চারাও সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ রাখে, চেষ্টা করুন মুখোমুখি দেখা করার ব্যবস্থা করতে।

আপনি আপনার বাচ্চাকে মোবাইল অ্যাডিকশন থেকে দূর রাখতে এবং সুস্থভাবে বড় করতে এই ছোট্ট প্রয়াসটুকু চেষ্টা করতেই পারেন।


Spread the love